দলের মহিলা নেত্রীকে লাথি মেরে সোজা স্টেজ থেকে ফেলে দিলেন তৃণমূল নেতা
একদিকে আজ দক্ষিণ ২৪ পরগণার বনগাঁয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল। আরেকদিকে ওই জেলাতেই তৃণমূল বেশ কিছু যায়গায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সভা আয়োজন করেছিল। সেরকমই এক সভায় আজ এমন এক কাণ্ড ঘটল যেটা শুনে চারিদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠে গেছে। যদিও এই প্রতিবাদী সভা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছিল না। এই প্রতিবাদী সভা ছিল, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রাণ হারানো এক তৃণমূল কর্মীর সমর্থনে।
আজ দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা থানার অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফে তৃণমূলের ডাকা প্রতিবাদী সভায় এই কাণ্ড ঘটে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সালাউদ্দিন সর্দার দলের নেত্রী তথা স্থানীয় সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেত্রী রহিমা লস্করকে সভা মঞ্চ থেকে লাথি মেরে নীচে ফেলে দেন। ভরা সভায় এই ঘটনা ঘটার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
স্থানীয়দের মতে গত ২৮শে জানুয়ারি ওই এলাকার এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় স্থানীয় সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেত্রী রহিমা লস্কর এর অনুগামী আলি হাসান লস্করের বিরুদ্ধে। আর সেই প্রতিবাদী সভা ডেকেছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সালাউদ্দিন সর্দার।
সালাউদ্দিন সর্দার ওই সভায় বক্তব্য রাখার সময় রহিমা লস্কর মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন, আর সেই সময় সালাউদ্দিন সর্দার ক্ষেপে গিয়ে রহিমাকে তিনবার লাথি মেরে মঞ্চ থেকে ফেলে দেন। মঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়ার পর সালাউদ্দিন মাইকে বলেন, ‘ যারা হেরোয়িন, কোকিনের ব্যাবসা করে, তাঁদের আমি তৃণমূলের কর্মী বলে মনে করিনা”
এই ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়ক। এই ঘটনার পর রহিমার অনুগামীরা ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এবং সালাউদ্দিন সর্দারের গ্রেফতারের দাবি করতে থাকে।
Anandabazar Patrika
Comments
Post a Comment